আমরা ভর্তুকি কেউ পছন্দ করি না। কিন্তু হঠাৎ জ্বালানি তেলের বাড়তি দাম চাপিয়ে দেওয়া হলো। আমরা এটা দেখে আশ্চর্য হয়ে গেছি। সরকার এত সাহস করলো কীভাবে? জ্বালানি তেলকে রাজস্ব আয়ের জন্য সরকার ব্যবহার করছে। পরোক্ষভাবে রাজস্ব নিতেই তেলের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে।
বুধবার (১০ আগস্ট) রাজধানীর ধানমন্ডিতে সেন্টার পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) কার্যালয়ে ‘জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি এখন এড়ানো যেত কি?’ শীর্ষক আলোচনায় বুয়েটের সাবেক অধ্যাপক, জ্বালানি ও টেকসই উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ ড. ইজাজ হোসেন এসব কথা বলেন।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব আনোয়ার ফারুক, সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, যাত্রী কল্যাণ সমিতির সভাপতি মোজাম্মেল হক চৌধুরী, বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি ফজলে শামীম এহসান।
ড. ইজাজ হোসেন বলেন, হঠাৎ করে কেন এটা করা হলো? পরিবহন ও কৃষিতে অনেক ক্ষতি হবে। উন্নয়নশীল দেশে ডিজেলে ভর্তুকি দিয়ে থাকে একটা স্বীকৃত বিষয়। উন্নত দেশ ফুয়েলের দাম কমায়। সরকার এমন একটা সময় দাম বাড়িয়ে দিলো, যখন আমরা নানা সমস্যায় জর্জরিত। বর্তমানে চালের দাম বেশি, বিদ্যুৎ, গ্যাসের দামও বেশি। ভোজ্যতেলের দামও বেশি। সরিষার তেল ১৯৭৫ সালে ব্যবহার করতাম কিন্তু এখন শতভাগ আমদানিতে চলে গেছে। বর্তমানে জ্বালানি তেলের দাম এমনভাবে বাড়ানো হয়েছে কেউ যুক্তিও খুঁজে পাচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, আমরা কিছুই বুঝতে পারছি না। ভোক্তার অধিকার সংরক্ষণ করা হচ্ছে না। এলিপিজির দামও বৃদ্ধি হয়েছে। এটা জনগণ মেনে নিয়েছে। সরকার এটা রাজস্ব আয়ের জন্য ব্যবহার করছে। বিশ্বে তেল থেকে রাজস্ব আয়ের টেনডেনসি আছে। তবে ডিজেলের দাম সব দেশেই কম রাখে। ডিজেলের ভর্তুকি না দিলে অনেক রকম ক্ষতি হয়। বাংলাদেশের ইতিহাসে খারাপ সময়ে আছি। তেলের দাম বৃদ্ধিতে সবাই বিপদে পড়েছে।