চলতি মাসেই ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের জ্যাকেটে যুক্ত হচ্ছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন কুইক রেসপন্স কোড বা কিউআর কোড। ডিবির সব সদস্যকে পৃথক কোড সংযুক্ত করে এ জ্যাকেট দেওয়া হবে।
জানা যায়, কর্মকর্তাদের তথ্য আগে থেকেই জমা থাকবে ডিবির নিজস্ব সার্ভারে। মোবাইল অ্যাপ দিয়ে সদস্যের কিউআর কোড স্ক্যান করলেই তাদের পরিচয় চলে আসবে। আর যদি কোনো ভুয়া ডিবির পোশাকের কোড স্ক্যান করা হয় তাহলে ‘ইনভ্যালিড কিউআর কোড’ নামে একটি বার্তা দেখা যাবে।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জাগো নিউজকে বলেন, বর্তমানে ডিএমপির ডিবি পুলিশ যে জ্যাকেট পরিধান করে অভিযান চালাচ্ছে তা বেশ পুরোনো। দীর্ঘ দিন ধরে এ জ্যাকেট ব্যবহারের ফলে অনেক প্রতারক চক্র বাইরে থেকে এটি তৈরি করে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করে। অনেক সময় মানুষকে ফাঁদে ফেলারও অভিযোগ পাওয়া যায়। বিভিন্ন সময় জ্যাকেটটির হুবহু কপি ভুয়া ডিবি সদস্যদের কাছে পাওয়া গেছে।
ভবিষ্যতে কেউ যেন এভাবে প্রতারণার শিকার না হতে হয় সেজন্য ডিবিতে সংযোজন করা হচ্ছে নতুন জ্যাকেট। কিউআর কোড ছাড়াও পোষাকে এমন কিছু নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা থাকছে যার ফলে জ্যাকেটটি জালিয়াতি করা অসম্ভব হবে। চলতি মাসেই এ পোশাক ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ সদস্যদের মধ্যে সরবরাহ করা হবে।
ডিবি প্রধান বলেন, নতুন প্রস্তাবিত ডিবির জ্যাকেটে রয়েছে আমাদের মেধা-মননের বিশেষ সমন্বয়। কিউআর কোডসহ বিভিন্ন দৃশ্যমান ও গোপন বৈশিষ্ট্য সংবলিত যে জ্যাকেটটি আমরা ব্যবহার করতে যাচ্ছি, তাতে আমাদের সদস্যদের মধ্যে কর্মতৎপরতা বৃদ্ধির পাশাপাশি জনগণের কাছে ডিএমপির ডিবিকে নিরাপদ আশ্রয়স্থল তৈরি করতে পারবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
এ জ্যাকেট নকল করা সম্ভব হবে না। জ্যাকেটের বৈশিষ্ট্য-
১। ডিএমপি ডিবির নতুন জ্যাকেটে এ প্রথম গোপনীয় নম্বর, গোয়েন্দা বিভাগ এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সমন্বয়ে কুইক রেসপন্স কোড বা কিউআর কোডের ব্যবস্থা থাকছে। সন্দেহ হলেই যে কেউ ডিবি পোশাকে থাকা কিউআর কোড স্ক্যান করে ওই ব্যক্তি ডিবির প্রকৃত সদস্য কি না তা শনাক্ত করতে পারবে।
২। নতুন জ্যাকেটে ডিবি এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের রঙিন লোগো ব্যবহার করা হচ্ছে যা সহজেই দৃশ্যমান হবে।
৩। জ্যাকেটে রাত্রিকালীন আলোতে দূর থেকে ডিবি পুলিশের উপস্থিতি বোঝা যাবে।
৪। নতুন ডিবি জ্যাকেটে বিভিন্ন পকেটের সুবিধা থাকাতে অভিযানকালে ডিবি সদস্যরা প্রয়োজনীয় নোটবুক, কলম ও কাগজপত্র নিরাপদে রাখতে পারবে।