রাজধানীর আবাসিক এলাকায় আবাসিক বৈশিষ্ট্য নষ্ট হচ্ছে না এমন ছোটখাটো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান করতে কোনো সমস্যা নেই বলে মনে করেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) বিকেলে সচিবালয়ে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার শুরুতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় তাজুল ইসলামকে প্রশ্ন করা হয়, রাজধানীর অলিগলিতে ভ্রাম্যমাণ দোকানে যে সবজি, মাছ, মুরগি বিক্রি চলছে তার বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে কি না? জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমরা বলছি বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড বাণিজ্যিক এলাকাতেই হবে। তবে আমাদের বাস্তববাদী হতে হবে। যেমন- কোনো স্বামী-স্ত্রী হয়তো তিন রুমের বাসা ভাড়া নিয়েছেন। তারা যদি তাদের একটি রুমে ইন্টারনেট সংযোগ নিয়ে কম্পিউটার বসিয়ে কিছু ট্রেড অ্যান্ড কমার্স (ব্যবসা-বাণিজ্য) করেন এতে তো নগরবাসীর কোনো সমস্যা হওয়ার কথা না।
তিনি বলেন, ধরুন কোনো এলাকায় ৫ হাজার মানুষ বসবাস করে। তাদের জন্য তো ওষুধ লাগবে, দৈনন্দিন জিনিসপত্র যেমন চা-চিনি লাগবে। এখন সেখানে যদি একটি মুদি দোকান না থাকে তাহলে তো গাড়ি নিয়ে তাকে দুই-তিন কিলোমিটার যেতে হবে। এতে কি রাস্তায় ট্রাফিক সমস্যা বাড়বে না?
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী আরও বলেন, যেসব ছোটখাটো বিষয় আবাসিক এলাকার পরিবেশ নষ্ট করবে না- এ ধরনের ব্যবসা-বাণিজ্য আমরা তালিকা করে দেবো। এটা করলে অসুবিধার কী আছে? সেখানে (আবাসিক এলাকায়) কোনো গোডাউন করা যাবে না বা কোনো পণ্যের হোলসেল ব্যবসা করা যাবে না।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী রাজধানীর পাইকারি বাজারগুলো সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া কবে নাগাদ শুরু হবে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমরা কাউকে জোর করে নেবো না। এই যে সবজি তারা বিক্রি করেন এর ক্রেতা কারা? আপনি ক্রেতা, আমি ক্রেতা। (হুট করে তাদের স্থানান্তর করলে) আমার তো সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাবে। আগে আমরা অপশনটা তৈরি করি তারপর তাদের নিয়ে যাবো। আমরা এমন ভাবে এটা তৈরি করতে চাই যাতে করে তারাও যেতে আগ্রহী হন। ফলে এ বিষয়ে আমাদের এখনো সুনির্দিষ্ট কোনো তারিখ নেই।