স্বামীর বঁটির কোপে গুরুতর আহত ভৈরবের মিতু আক্তারের পেট থেকে অস্ত্রোপচার করে মৃত প্রসব করানো হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) চিকিৎসাধীন।
বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কিশোরগঞ্জের ভৈরব থানার নিউ টাউন এলাকায় স্বামীর বঁটির কোপে গুরুতর আহত হন মিতু আক্তার (১৮)। পরে তাকে ঢামেকে নিয়ে এলে ওইদিন রাতেই তার অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসকরা।
শনিবার (২৩ জুলাই) রাতে মিতুর বোন ঝুমুর বেগম বলেন, আমার বোন আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। দুই বছর আগে মো. জাহেদ মিয়ার (৩২) সঙ্গে তার বিয়ে হয়। জাহিদ আগেও একটি বিয়ে করেন। সেই ঘরে আড়াই বছরের একটি মেয়েও রয়েছে। সে তার আমার মায়ের কাছে থাকে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আমার বোনের সঙ্গে তার কাটাকাটি হয়।
একপর্যায়ে রান্নাঘর থেকে বঁটি এনে জাহেদ মিতুকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে জাহেদকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেন। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় মিতুকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। দিবাগত রাত দেড়টার দিকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার মৃত প্রসব করানো হয়।
তিনি বলেন, জাহেদ বিভিন্ন জায়গা থেকে ভাঙারির মালামাল কুড়িয়ে দোকানে বিক্রি করেন।তিনি মাদকাসক্ত। এ নিয়ে আমার বোনের সঙ্গে প্রায়ই তার ঝগড়া হতো।
ঝুমুর বলেন, চিকিৎসকরা জানিয়েছেন এক সপ্তাহ পর মিতুর আবার অপারেশন লাগবে। এই সময় তাকে আইসিইউতেও রাখতে হতে পারে বলেও জানান চিকিৎসকরা।
তিনি আরও বলেন, আমাদের গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের ভৈরব থানায়। মিতু স্বামীর সঙ্গে নিউ টাউন এলাকায় থাকতেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেন।