ডাইনোসরের চারটি দুষ্প্রাপ্য ফসিল জাতীয় জাদুঘর কর্তৃপক্ষকে প্রদান করেছেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন। এ ফসিলগুলো ৭০ হাজার বছরের পুরাতন। যাচাই বছাই করে ডাইনোসরের ফসিলগুলো গ্রহণ করেছে জাতীয় জাদুঘর কর্তৃপক্ষ।
ফসিল গ্রহণের পর বাংলাদেশ জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান পাবিপ্রবি উপাচার্যকে ধন্যবাদপত্র পাঠিয়েছেন। পাবিপ্রবি জনসংযোগ দপ্তরের উপ- পরিচালক ফারুক হোসেন চৌধুরি মঙ্গলবার (২ আগস্ট) জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পাবিপ্রবি জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কানাডার ড্রামহিলার এলাকার ‘দি রয়েল টাইরেল জাদুঘর’ বিশ্বের সবচেয়ে বড় জাদুঘর যেখানে দীর্ঘদিন ধরে ডাইনোসের ফসিল সংগ্রহ ও প্রদর্শন করা হয়। তাদের সংগ্রহ সারা পৃথিবীতে সবচেয়ে সমৃদ্ধ। জীবাশ্মবিজ্ঞান সংগ্রহে তাদের ভূমিকা সারাবিশ্বে আলোচিত ও প্রশংসিত। কানাডায় দীর্ঘদিন জরিপ চালিয়ে দুর্লভ এই ফসিলটি সংগ্রহ করেন সেখানকার বিজ্ঞানীরা।
১৯৮৩ সালে অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন গবেষণার কাজে কানাডায় যান। গবেষণা কাজের এক পর্যায়ে চারটি ফসিল সংগ্রহ করেন। এরপর তিনি ১৯৮৪ সালে দেশে আসার সময় ফসিলগুলোও নিয়ে আসেন। দীর্ঘ ৩৮ বছর ফসিলগুলো নিজের তত্ত্বাবধানে রাখেন। ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর কর্তৃপক্ষের কাছে তা হস্তান্তর করেছিলেন। জাদুঘর কর্তৃপক্ষ যাচাই-বাছাই, পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে নিশ্চিত হওয়ার পর সেগুলো গ্রহণ করেছেন বলে গত ২৪ জুলাই স্বাক্ষরিত এক পত্রে জানিয়েছে।
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের প্রাকৃতিক ইতিহাস বিভাগে ডাইনোসরের ফসিল চারটি এখন থেকে প্রদর্শন করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান পাবিপ্রবি উপাচার্যকে একটি ধন্যবাদপত্র পাঠিয়েছেন। ধন্যবাদপত্রে পাবিপ্রবি উপাচার্যকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে মো. কামরুজ্জামান বলেন, এই ফসিল চারটি জাতীয় জাদুঘরের সংগ্রহকে সমৃদ্ধ করেছে। ভবিষ্যতে আমরা আপনার আরো বেশি সহযোগিতা কামনা করছি।
জাতীয় জাদুঘরে নিজের সংগ্রহ করা ডাইনোসরের চারটি ফসিল গৃহীত হওয়া নিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন বলেন, এই ফসিলগুলো দুর্লভ। কানাডায় বিশেষ জরিপ চালিয়ে এই ফসিল সংগ্রহ করেন সেখানকার বিজ্ঞানীরা। তাদের কাছ থেকে গবেষণার জন্য আমি এগুলো সংগ্রহ করে বাংলাদেশে নিয়ে আসি। ডাইনোসর নিয়ে যারা গবেষণা করবেন তাদের উপকারে আসবে এগুলো।
কানাডার ড্রামহিলার এলাকার দি রয়েল টাইরেল জাদুঘর ডাইনোসরের ফসিল সংগ্রহ এবং প্রদর্শনের জন্য বিখ্যাত। এই জাদুঘর দীর্ঘদিন ধরে ডাইনোসরের ফসিল সংগ্রহ ও প্রদর্শন করছে। ডাইনোসরের ফসিল সংগ্রহে এটি সারা পৃথিবীতে সবচেয়ে সমৃদ্ধ। জীবাশ্মবিজ্ঞান সংগ্রহে এই প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা বহুল প্রশংসিত।