পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের মাথালপাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকটি ১৪ দিন পর খুলেছে। সোমবার (২২ আগস্ট) ক্লিনিকে আসেন অতিরিক্ত দায়িত্ব পাওয়া হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) সাইফুল ইসলাম শিশির। ক্লিনিকটি খোলায় সেবাগ্রহীতাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৮ আগস্ট মাথালপাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি তন্নি শারমিন মাতৃকালীন ছুটিতে যান। তার পরিবর্তে এখানে সপ্তাহে দুদিন দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেওয়া হয় সিএইচসিপি সাইফুল ইসলাম শিশিরকে। কিন্তু ১৪ আগস্ট লিখিত নির্দেশনাপত্র পেলেও সরকারি ছুটি ও ভ্যাকসিন দেওয়াসহ বিভিন্নকাজে ব্যস্ত থাকায় সোমবার এ ক্লিনিকে দায়িত্ব পালনে আসেন।
এদিকে ১৪ দিন ক্লিনিক বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েন এলাকাবাসী। ক্লিনিক বন্ধের তিনদিনের মাথায় ১১ আগস্ট জাগোনিউজ২৪.কম-এ ‘কমিউনিটি ক্লিনিকে ৩ দিন ধরে ঝুলছে তালা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
সাইফুল ইসলাম শিশির জাগো নিউজকে বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে মাথালপাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকে সপ্তাহে সোমবার ও মঙ্গলবার দুদিন দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেওয়া হয়। সোমবার সকাল থেকে ক্লিনিকে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছি।
১৪ দিন বন্ধ থাকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রথমে মৌখিকভাবে কাজে যোগদানের জন্য আমাকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু লিখিত নিদের্শনাপত্র না পাওয়া পর্যন্ত আমি কাজে যোগদান করবো না এটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলাম। লিখিত নির্দেশনাপত্র দেওয়ার পর সরকারি ছুটি ও ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শেষে সোমবার যোগদান করেছি।
১৪ দিন পর কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ থাকায় চরমিরকামারী এলাকার সেবাগ্রহীতা রত্না খাতুন বলেন, ‘ক্লিনিক বন্ধ থাকায় এ এলাকার মানুষের খুবই অসুবিধা হয়েছে। গরিবরা এখান থেকে বিনামূল্যে সেবা পাই। ১৪ দিন পর খুলেছে। আর যেন বন্ধ না হয় সেদিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের খেয়াল রাখতে হবে।’
মাথালপাড়া এলাকার লিপি খাতুন বলেন, ‘কমিউনিটি ক্লিনিকে আমরা সবাই চিকিৎসা সেবা ও ওষুধের জন্য আসি। বন্ধ থাকলে তো সবার সমস্যা। আজ এসে চিকিৎসা ও ওষুধ নিয়ে গেলাম। এটি নিয়মানুযায়ী খোলা রাখলে এলাকার মানুষ উপকৃত হয়।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, মাথালপাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকে সপ্তাহে দুদিন দায়িত্ব পালনের জন্য সিএইচসিপি সাইফুল ইসলামকে নির্দেশনাপত্র দেওয়া হয়েছে। তিনি এখন থেকে সোম ও মঙ্গলবার সেখানে দায়িত্ব পালন করবেন। সপ্তাহে তিনদিন দায়িত্ব পালন করবে পরিবার পরিকল্পনার বিভাগের স্বাস্থ্য কর্মীরা।
সলিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ বাবলু জাগো নিউজকে বলেন, এ ক্লিনিক বন্ধের বিষয়টি আমাকে জানানো হয়নি। লোকমুখে জেনেছি। এটি যেন আর কখনো বন্ধ না থাকে সে বিষয়ে নজরে রাখবো।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা এ এফ এম আসমা খানম জাগো নিউজকে বলেন, ঈশ্বরদীতে ২৮টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। প্রত্যেকটি ক্লিনিকের জন্য একজন করে সিএইচসিপি রয়েছে। অতিরিক্ত কোনো সিএইচসিপি না থাকায় মাথালপাড়া ক্লিনিকে সপ্তাহে দুদিন দায়িত্ব পালনের জন্য সাইফুল ইসলাম শিশিরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সোমবার ও মঙ্গলবার তিন দায়িত্ব পালন করবেন।