প্রায় ২০০ মিটারের একটি রাস্তা। সামান্য বৃষ্টিতেই পানি জমে চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়ে। ফলে ভোগান্তি পোহাতে হয় বৃষ্টিমুখর প্রতিটি দিনই। কাদা আর ঘোলা পানিতে একাকার হয়ে থাকে বর্ষাকালের অধিকাংশ সময়। এমনটাই দেখা মেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ছয়টি আবাসিক ছাত্রী হলের সামনের রাস্তায়।
রোববারও (৭ আগস্ট) সামান্য বৃষ্টিতে ছাত্রী হলগুলোর সামনের রাস্তায় এমন জলাবদ্ধতার চিত্র দেখা গেছে। রোকেয়া হল থেকে শুরু করে মন্নুজান হল পর্যন্ত পুরো রাস্তা জলে নিমজ্জিত। সেটি সড়ক নাকি ডোবা তা বোঝা মুশকিল।
ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এটা নিত্যদিনের ঘটনা। বৃষ্টি এলেই এমন জলাবদ্ধতা সব সময় সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে প্রশাসনকেও কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। জলাবদ্ধতার কারণে একদিকে যেমন ছাত্রীরা হল থেকে বের হচ্ছে না অন্যদিকে পড়াশোনার পরিবেশও ব্যাহত হচ্ছে।
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী পপি রাজবংশী শ্রাবন্তী বলেন, ‘বৃষ্টির জলে রাস্তায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। আমাদের ক্লাসে যাতায়াতের সমস্যা হয়। বৃষ্টির দিনসহ পরবর্তী দিনেও কাদা আর ঘোলা পানি ঠেলে যেতে হয় ক্লাসে। সময় মতো ক্লাসে যাওয়া চ্যালেঞ্জ হয়ে যায়। বৃষ্টি হলে রিকশার ভাড়াও বেড়ে যায়।’
বেগম খালেদা জিয়া হলের শিক্ষার্থী নিলুফা আক্তার বলেন, ‘হলগুলোর সামনের রাস্তা ভেঙে গেছে। বৃষ্টির দিনে রাস্তায় চলাটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। বৃষ্টির পানি রাস্তার দুপাশে জমে থাকে। আমরা বাজার করতে যেতে পারি না। ক্লাসে যাওয়ার সময় কাপড় ভিজে যায়। কয়েকদিন আগে রাস্তার পাশে অস্থায়ী ড্রেন করলেও পানি নিষ্কাশনে অনেক দেরি হয়। দুর্ভোগ কমাতে অবিলম্বে এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হল প্রাধ্যক্ষ পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. ফেরদৌসী মহল জাগো নিউজকে বলেন, রাস্তার দুপাশে ড্রেনের কাজ চলমান। রাস্তা থেকে ড্রেনগুলো উঁচু থাকায় সামান্য বৃষ্টি এলেই জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। এদিকে ড্রেনের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত রাস্তার কাজ ধরা যাবে না। ড্রেনের কাজ শেষ হলেই রাস্তার কাজ ধরবো।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সুলতান-উল-ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘বিষয়টি জানা আছে। আমি নিজেও রাস্তাটি পরিদর্শন করেছি। শেখ হাসিনা হলের কাজ চলমান থাকায় স্থায়ীভাবে রাস্তাটা করতে পারছি না। তবে প্রধান প্রকৌশলীকে দ্রুত ইট-পাথর ও সুরকি দিয়ে আপাতত রাস্তাটা উঁচু করে দিতে বলেছি। শেখ হাসিনা হলের কাজ শেষ হলেই স্থায়ীভাবে রাস্তার কাজ শুরু হবে।’