25 C
Dhaka,BD
May 28, 2023
Uttorbongo
বগুড়া রাজশাহী

মরদেহে আঘাতের চিহ্ন, দাফন বন্ধ করলো পুলিশ

বগুড়ায় দাফনের প্রস্তুতিকালে নাজমা বেগম (৩২) নামে এক গার্মেন্টস কর্মীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (২৪ আগস্ট) বিকেলে বগুড়া সদর থানা পুলিশ সাতশিমুলিয়া গ্রাম থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। নাজমা বেগম সাতশিমুলিয়া উত্তরপাড়া গ্রামের শহিদ হোসেনের স্ত্রী এবং বগুড়া সদরের গোকুল মধ্যপাড়ার কামাল হোসেনের মেয়ে।

জানা গেছে, শহীদ হোসেন প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিয়ে ১৪ বছর আগে নাজমা বেগমকে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে দুই কন্যাসন্তান রয়েছে। গত ছয় মাস আগে স্বামী-স্ত্রী ঢাকার হেমায়েতপুর এলাকায় একটি গার্মেন্টসে কাজ নিয়ে সেখানেই বসবাস করতেন। ওই এলাকায় নাজমা বেগমের শাশুড়িও বসবাস করে গার্মেন্টসে কাজ করেন।

নাজমা বেগমের ভাই সোবাহান জানান, গত ২১ আগস্ট তার ভগ্নিপতি ফোনে জানান, নাজমা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। তাকে ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার (২৪ আগস্ট) সকালে ফোন করে জানানো হয়, নাজমা মারা গেছে। তার মরদেহ সাতশিমুলিয়া গ্রামে আনা হচ্ছে।

এরপর দুপুরে নাজমার মরদেহ গ্রামে এনে তড়িঘড়ি করে দাফনের প্রস্তুতি নেয় স্বামীর বাড়ির লোকজন। খবর পেয়ে নাজমার ভাই ও গ্রামের কয়েকজন নারী সাতশিমুলিয়া গ্রামে পৌঁছে মরদেহ দেখতে চান। এসময় স্বামীর পরিবারের লোকজন দাফনের জন্য তড়িঘড়ি এবং সন্দেহজনক আচরণ শুরু করেন। নাজমার ভাই বিষয়টি সদর থানা পুলিশকে জানান। এসময় নিহতের স্বামী শহিদ হোসেন পালিয়ে যান।

সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নারী পুলিশ দিয়ে মরদেহ দেখে সন্দেহ হলে দাফনে বাঁধা দেয়। এরপর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

নাজমার ভাই সোবাহান অভিযোগ করেন, মরদেহের বিভিন্ন স্থানে চাকু দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এছাড়া ঢাকায় যাওয়ার আগে তার বোনকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করেছিলেন শহীদ। একারণে তাদের সন্দেহ নাজমাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বগুড়া সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাকির আল আহসান বলেন, মরদেহে আঘাতের চিহ্ন দেখে সন্দেহ হওয়ায় দাফন করতে দেওয়া হয়নি। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।

Related posts

প্রক্সিতে ধরা পড়েও রাবির ‘এ’ ইউনিটে প্রথম, অবশেষে ফল বাতিল

admin

ট্রাকচাপায় প্রাণ গেলো এসএসসি পরীক্ষার্থীর

Asha Mony

বাড়ছে পদ্মার পানি, স্রোত না থাকায় নাব্য হারাচ্ছে নদী

Asha Mony