রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় কর্মী সমাবেশে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ‘অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ’ বক্তব্যের অভিযোগে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদসহ আটজনের নামে মামলা করেছে মহানগর আওয়ামী লীগ।
মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
আদালতের বিচারক মারুক আল্লাম অভিযোগটি আমলে নিয়ে আসামিদের প্রতি সমন জারি করেছেন। মামলার পরবর্তী শুনানি ৯ আগস্ট। পাশাপাশি আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর আসামিদের হাজির হতে নির্দেশও দিয়েছেন আদালত।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (২২ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রাজশাহীর বাঘা উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়নের হাবিবুরের মোড় এলাকায় পথসভায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেন। ওই বক্তব্য ফেসবুকে প্রচার করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয়, রাজনৈতিক, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক খ্যাতি ও সুনাম নষ্ট করেছেন। এজন্য মামলাটি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার বলেন, ‘আবু সাঈদ চাঁদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিষয়ে অশালীন মন্তব্য করেছেন। তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে জড়িয়ে মন্তব্য করেছেন। এজন্য তাকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এটি যারা প্রচার করেছিলেন তাদের নামেও মামলা দেওয়া হয়েছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটি কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য নয়। এটি তিনি অশালীন মন্তব্য করেছেন। এটির প্রমাণ আছে। আমরা আদালতে সিডি আকারে সেটি বেশ করেছি। অশালীন বক্তব্যের জন্যই মামলাটি করা হয়েছে। কোনো রাজনৈতিক মামলা এটি নয়।’
তবে রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদের দাবি, এটি প্রতিহিংসাবশত মামলা। রাজনীতির কারণেই মামলাটি করা হয়েছে। তিনি সেদিন এ রকম কোনো মন্তব্য করেননি।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিএনপি নেতার অশালীন বক্তব্যের প্রতিবাদে ও অবিলম্বে তাকে গ্রেফতারের দাবিতে রাজশাহীর বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ ও মিছিল চলছে। সোমবার (২৫ জুলাই) বিকেলে রাজশাহীর কাঁকাখালী এলাকায় ঝাড়ু মিছিল হয়েছে। এরপর সন্ধ্যায় রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
অন্যদিকে পবা, চারঘাট ও বাঘা উপজেলায় আবু সাঈদ চাঁদকে অবাঞ্ছিতসহ বিএনপিকে কোনো কর্মসূচি করতে দেওয়া হবে না বলেও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।