বগুড়ার ধুনট উপজেলায় দ্বিতীয় বিয়ে মেনে না নেওয়া স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগে নজরুল ইসলাম (৩০) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতার নজরুল উপজেলার কালারপাড়া ইউনিয়নের নিত্তিপোতা গ্রামের রমজান আলীর ছেলে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিলচাপড়ী গ্রামের আকরাম হোসেনের মেয়ে শাহানাজ পারভীনের (২৮) সঙ্গে প্রায় ১৫ বছর আগে নজরুল ইসলামের বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে দুই ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। গত তিন বছর ধরে শাহানাজকে তার বাবার বাড়ি থেকে ২ লাখ টাকা যৌতুক এনে দিতে বলেন নজরুল।
কিন্তু শাহানাজের হতদরিদ্র বাবার পক্ষে টাকা দেওয়া সম্ভব হয়নি। এ কারণে প্রায়ই স্বামীর নির্যাতন সইতে হয় শাহানাজকে। ধারাবাহিক নির্যাতনের শিকার শাহানাজ ৫ মে সন্তানদের নিয়ে বাবাবাড়ি আশ্রয় নেন। সেখানেই খেয়ে না খেয়ে কাটছিল শাহানাজের দুর্বিষহ জীবন।
এরই মধ্যে শাহানাজ লোকমুখে জানতে পারেন নজরুল দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য ১১ আগস্ট নজরুলের কাছে যান শাহানাজ। তাকে দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন নজরুল। দ্বিতীয় বিয়ে মেনে না নেওয়ায় একপর্যায়ে নজরুল মারধর করে শাহানাজকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন। এতে আহত শাহানাজ চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন।
এ ঘটনায় শাহানাজ পারভীন বাদী ১২ আগস্ট সন্ধ্যায় স্বামী নজরুল ও ভাসুরসহ চারজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন।
গ্রেফতারের আগে নজরুল বলেন, ‘যৌতুকের টাকা দাবি করিনি। তবে দ্বিতীয় বিয়ে মেনে না নেওয়ায় কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে তাকে চড় থাপ্পড় মেরেছি।’
ধুনট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অমিত কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ মামলার অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’