রংপুর থেকে ঢাকাগামী ঈদ পরবর্তী যাত্রায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের। নির্ধারিত সময়ে বাস চলাচল না করায় যাত্রীরা পড়েছেন বিপাকে। শিডিউল বিপর্যয়ের মুখে অনেকেই বাসের যাত্রা বাতিল করতে বাধ্য হচ্ছেন।
শনিবার (১৬ জুলাই) সকালে রংপুর নগরীর কামারপাড়ায় ঢাকা কোচ স্ট্যান্ডে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ১৭ থেকে ১৮ ঘণ্টা বা তারও বেশি সময় পর বাসগুলো গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছে।
হানিফ কাউন্টারের সহকারী ম্যানেজার আমিনুল ইসলাম জুয়েল জাগো নিউজকে জানান, ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের সিরাজগঞ্জ, বঙ্গবন্ধু সেতু, ফুড ভিলেজসহ বিভিন্ন স্থানে যানজট থাকায় বাস চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। যেখানে ১০-১২ ঘণ্টা লাগতো এখন সেখানে ১৭-১৮ ঘণ্টা লাগছে। এতে নির্দিষ্ট সময়ে বাস চলাচল করা সম্ভব হচ্ছে না।
এই শিডিউল বিপর্যয়ের মুখে শুক্রবার (১৫ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টা এবং ১১টা ৫৫ মিনিটের বাস দুটির যাত্রা বাতিল করে দেওয়া হয়।
শাহ ফতেহ আলী কাউন্টারের সহকারী ম্যানেজার মামুন মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, নির্দিষ্ট সময়ে বাস এসে না পৌঁছানোর কারণে ছেড়ে যেতেও দেরি হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) রাত ১২টায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা একটি বাস শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় এসে পৌঁছায়। এ অবস্থায় শুক্রবার রাতে দুইটা এবং শনিবার (১৬ জুলাই) সকাল সাড়ে দশটায় ১টা বাসের যাত্রা বাতিল করতে হয়েছে বলেও জানান তিনি।
নগরীর মাস্টারপাড়া এলাকার মাহবুবুল ইসলাম নামে এক যাত্রী জাগো নিউজকে জানান, ঈদের আগে ১৪ ঘণ্টায় ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরেছেন। এখন শ্যামলী পরিবহনের বাস সকাল সাড়ে ১০টায় ছাড়ার কথা থাকলেও ১১টা পর্যন্ত ছাড়েনি। স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে অপেক্ষা করছেন। কখন বাস ছাড়বে তার ঠিক নেই। আর ছাড়লেও কখন ঢাকায় পৌঁছাবেন তা জানেন না।
নগরীর সাগরপাড়া এলাকার মহিদুল ইসলাম ঢাকা যাবেন বলে সকাল দশটায় এসেছেন বাসস্ট্যান্ডে। বেলা ১১টা পর্যন্ত কোনো কাউন্টার থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে পারেননি। এ অবস্থায় ঢাকা যাওয়া সম্ভব হবে কিনা তা এখন অনিশ্চিত।
নাবিল পরিবহনের সহকারী আসলাম বলেন, শুক্রবার রাতে ঢাকা থেকে ছেড়ে শনিবার ভোর ৬টায় রংপুরে পৌঁছানোর কথা ছিল। কিন্তু পৌঁছাতে হয়েছে সকাল ১০ টায়। পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী বেলা ১১টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও এখন ১টার দিকে ছাড়তে হবে। এ অবস্থায় যাত্রীসহ বাস স্টাফদেরও ভোগান্তি চরমে উঠেছে। এই ভোগান্তি নিরসনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।