উজানের ভারী বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্তৃপক্ষ। তিস্তার পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৬০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৯ জুন) ভোর থেকে তিস্তার পানি হু হু করে বাড়ছে। এতে তিস্তার চর অঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পানি বৃদ্ধির কারণে দেখা দিয়েছে ভাঙন। হুমকির মুখে রয়েছে বিভিন্ন স্থাপনা।
বিকেল সাড়ে ৩টায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ সেন্টিমিটার; যা বিপৎসীমার ৬০ সেন্টিমিটার নিচ (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার) দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে ব্যারাজ রক্ষায় ৪৪টি গেট খুলে দেওয়া হয়েছে।
ডালিয়া পাউবো সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে তিস্তার পানি বাড়তে থাকে। তবে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে পানি কমতে শুরু করে। তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তীরবর্তী নিম্ন অঞ্চলের জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার পাটগ্রামের দহগ্রাম; হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, সিঙ্গামারি, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ী; কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি; আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা,পলাশী ও সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুণ্ডা ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করেছে। এতে তিস্তায় ভাঙন দেখা দিয়েছে।
হাতীবান্ধা সিন্দুর্না ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার মফিজার রহমান জাগো নিউজকে বলেন, বুধবার (৮ জুন) সন্ধ্যা থেকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে চর এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। সিন্দুর্না সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চর সিন্দুর্না কমিনিউটি ক্লিনিকটি হুমকির মুখে রয়েছে। বড় ধরনের বন্যা দেখা দিলে এগুলো নদীতে বিলীন হয়ে যাবে।
ডালিয়া পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা জাগো নিউজকে বলেন, সকাল থেকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি যায়। তবে বিকেল থেকে পানি কমতে শুরু করছে। তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে এ বর্ষা মৌসুমে তিস্তার পানি বাড়তে থাকবে।