বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের প্রকল্প বলে জানিয়েছেন বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান। তিনি বলেছেন, দেশের প্রথম এভিয়েশন বিশ্ববিদ্যালয়টি উত্তরাঞ্চলে সেন্টার অব এক্সিলেন্সে পরিণত হবে।
রোববার (৩ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় লালমনিরহাটে বিশ্ববিদ্যালয়টির অস্থায়ী ক্যাম্পাসের একাডেমিক সেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিমান বাহিনী প্রধান এ কথা বলেন।
এয়ার ভাইস মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়টি ২০২০ সালে ঢাকা ক্যাম্পাসে যাত্রা শুরু করলেও এর স্থায়ী ক্যাম্পাস লালমনিরহাটে। তার প্রস্তুতি হিসেবে ফিজিবিলিটি স্টাডি ও মাস্টার প্ল্যান তৈরি করে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে একটি ত্রিপাক্ষিক চুক্তি হয়েছে। তবে স্থায়ী ক্যাম্পাস তৈরি না হওয়া পর্যন্ত বিমান বাহিনীর নিজস্ব যায়গায় অস্থায়ী একটি একাডেমিক ভবন ও একটি আবাসিক ভবন দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ চলমান থাকবে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি এভিয়েশন হাবে রূপান্তরের পরিকল্পনা নিয়েছে। বিশ্বব্যাপী এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেসের জন্য এটি একটি কৌশলগত হাতিয়ার হিসেবে কাজ করবে। এটি উত্তরাঞ্চলের তরুণ প্রজন্মের জন্য সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করবে।
এসময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এয়ার ভাইস মার্শাল মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক আবু জাফর, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান, পৌর মেয়র রেজাউল করিম স্বপনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং ছাত্রছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।
লালমনিরহাট শহরের হাড়িভাঙ্গা এলাকায় বিমান বাহিনী রক্ষণাবেক্ষণ ইউনিটের নিজস্ব জায়গায় অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ২৬ জুন থেকে ক্লাস শুরু হয়েছে।