33 C
Dhaka,BD
June 6, 2023
Uttorbongo
কুড়িগ্রাম রংপুর

গো-খাদ্য সংকটে কোরবানির হাটে পশুর ঢল, মিলছে না ক্রেতা

কুড়িগ্রাম সদরের যাত্রাপুরের পশুরহাটটি বেশ ঐতিহ্যবাহী। এখানে প্রতিবছর কোরবানির সময় জেলার চার উপজেলার অন্তত ১০টি ইউনিয়নের খামারিরা গবাদিপশু বিক্রি করতে আসেন। চলতি বছর বন্যার কারণে গো-চারণভূমি ও খড় তলিয়ে নষ্ট হওয়ায় হাটে প্রচুর গরু উঠছে। তবে সেই তুলনায় ক্রেতা না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন খামারিরা।

মঙ্গলবার (৫ জুলাই) সরেজমিন জেলা সদরের ঐতিহ্যবাহী যাত্রাপুরের পশুরহাট ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

যাত্রাপুরহাটের ব্যবসায়ীরা জানান, সদর উপজেলা, নাগেশ্বরী, ভুরুঙ্গামারী ও উলিপুর উপজেলার অন্তত দশটি ইউনিয়নের প্রায় অর্ধশত নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের খামারিরা এ হাটে কোরবানির পশু বেচাকেনা করেন। চলতি বছরের বন্যায় ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমার ও ধরলা নদীর অববাহিকা এলাকার চারণভূমি ও খড় তলিয়ে নষ্ট হওয়ায় চরম গো-খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে এসব অঞ্চলের অনেক খামারিই তাদের গবাদিপশু যাত্রাপুরের কোরবানির হাটে এনে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে করে গবাদিপশুর আমদানি বেশি হওয়ায় এবং তুলনামূলক ক্রেতার সমাগম না হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন খামারিরা।

বিক্রেতারা বড় গরুর দাম হাঁকছেন দেড় লাখ থেকে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত। এছাড়া ৯০ থেকে ১০০ কেজি ওজনের গরুর দাম ৬৫ থেকে ৭০ হাজার টাকা চাওয়া হচ্ছে। তবে ক্রেতা-সংকটের কারণে জমে উঠছে না ঐতিহ্যবাহী কোরবানির এ হাটটি।

হাটে গরু বিক্রি করতে আসা নাগেশ্বরীর নারায়ণপুর ইউনিয়নের তজিবর মিয়া বলেন, বন্যায় ঘাস ও খড় তলিয়ে গেছে। গো-খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। এছাড়া গরু বিক্রির টাকায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর সংস্কার করবো। কিন্তু গত শনিবার হাটে এসে দিন পার করেও ক্রেতা সংকটের কারণে গরু বিক্রি করতে পারিনি। আজও সারাদিন চলে যাচ্ছে, এখনো ক্রেতা মিলছে না।

ঝুনকারচর থেকে সদরের যাত্রাপুর হাটে গরু বিক্রি করতে আসা আমিনুর রহমান বলেন, অতিরিক্ত বন্যা হওয়ার কারণে হাটে গরুর আমদানি এবার অনেক বেশি। দুটি গরু নিয়ে আসছি। পাইকার নেই, কেউ দাম বলছে না।

যাত্রাপুরহাটের ইজারাদার সেলিম মিয়া বলেন, হাটে বিভিন্ন চরাঞ্চল থেকে অনেক গরু আসছে। কিন্তু ক্রেতার সমাগম তুলনামূলক অনেক কম। এতে করে এখনো হাট জমে না ওঠায় দুশ্চিন্তায় আছি। ক্রেতা সংকটের কারণে খামারিরাও বিপাকে রয়েছেন।

যাত্রাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর বলেন, জেলার চার উপজেলার অন্তত ১০টি ইউনিয়নের খামারিরা যাত্রাপুরহাটে গবাদি পশু বেচাকেনা করেন। এবার বন্যার কারণে হাটে গবাদিপশুর আমদানি অনেক বেশি। বাজারদরও ভালো। তবে তুলনামূলক ক্রেতা কম আসায় খামারিরা বিপাকে রয়েছেন।

কুড়িগ্রাম প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার বলেন, জেলায় প্রায় ১ হাজার ৭০টি খামার রয়েছে। এসব খামারে গরুর সংখ্যা ৯ লাখেরও বেশি। আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১ লাখ ৩৪ হাজার পশু প্রস্তুত আছে। আর এখানকার চাহিদা প্রায় ৯০ হাজার। বাকিপশুগুলো দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাবে।

Related posts

বিড়ম্বনা এড়াতে ইভিএমে ভোট দেওয়া শেখাচ্ছে পুলিশ

admin

বিপাকে হাবিপ্রবির ৪ শতাধিক শিক্ষক-কর্মকর্তা ‘সরল সুদে’ ঋণ নিয়ে চক্রবৃদ্ধি হারে কিস্তি

Asha Mony

ফুলবাড়ীতে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ২

Asha Mony