পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে একটি চর এলাকা সংলগ্ন খালের বাঁধ কেটে দেওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। চারপাশে নদীবেষ্টিত মাঝিয়ালী চরের ১৭০ পরিবারের লোকজন রাস্তা হিসেবেও বাঁধটি ব্যবহার করেন। নদীভাঙনের অজুহাতে বাধঁটি কেটে দেওয়া হয়েছে। এতে পানিবন্দি হওয়াসহ হাঁটাচলায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন চরের বাসিন্দারা।
সেখানে ফের বাঁধ নির্মাণের দাবিতে সোমবার (৪ জুলাই) বিক্ষোভসহ মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগীরা।
দুর্ভোগের শিকার মাঝিয়ালীর বাসিন্দারা জানান, দেবীগঞ্জ উপজেলার সুন্দরদিঘী এলাকার মাঝিয়ালী চরের চারপাশজুড়ে করতোয়া, ধরধরিয়া এবং পাথরাজ নদীর অবস্থান। মাঝিয়ালী চর এলাকায় ১৭০ পরিবারের প্রায় ৭০০ মানুষ বসবাস করেন। দীর্ঘদিন থেকে বসবাস করা এসব মানুষ প্রতি বছর বর্ষায় পানিবন্দি হয়ে পড়েন। চলাচলের কোনো পথ না থাকায় তাদের ভরসা নৌকা।
দুই বছর আগে স্থানীয়রা নিজেদের মধ্যে চাঁদা তুলে চলাচলের জন্য ধরধরিয়া খালের ওপর স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে একটি বাধঁ নির্মাণ করেন। সেই বাঁধই তাদের চলাচলের একমাত্র অবলম্বন হয়ে ওঠে। বাঁধের কারণে বন্যা থেকেও রক্ষা পান তারা। কিন্তু সাম্প্রতিক বন্যায় নদীভাঙনের অজুহাতে ধরধরিয়া খালের ওপর সেই বাঁধ ভেঙে দেন প্রভাবশালীরা।
মাঝিয়ালী চর গ্রামের রহিমা খাতুন বলেন, ‘ধরধরিয়া খালের ওপর এই বাঁধটিই আমাদের চলাচলের একমাত্র রাস্তা। বাঁধ না থাকলে আমরা পানিবন্দি হয়ে পড়ি। আমাদের ছেলেমেয়েরা স্কুল-কলেজে যেতে পারেন না। এখন আমরা কী করবো, কোথায় যাবো?’
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা শাহিনুর রহমান বলেন, ‘বছরের পর বছর ধরে ধরধরিয়া খালটি প্রবাহিত। প্রতি বছর বর্ষায় এই খাল দিয়ে আমাদের এলাকার পানি প্রবাহিত হয়। কিন্তু খালের ওপর বাঁধ দেওয়ায় এবারের বর্ষায় পাশের কয়েকটি গ্রামে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এজন্য বাঁধটি কেটে দেওয়া হয়েছে।’
এ বিষয়ে দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গোলাম ফেরদৌস বলেন, ঘটনার পর সরেজমিন এলাকা ঘুরে দেখা হয়েছে। দ্রুত সেখানকার সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে কাউকে কিছু না বলে হুট করে বাঁধ কেটে দেওয়ার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।।