কুড়িগ্রামের রাজীবপুরে রাস্তা দখল করে বাড়ির বাউন্ডারি নির্মাণ করায় জেলা পরিষদের সাবেক সংরক্ষিত নারী সদস্য সুলতানা রাজিয়া রেনু ও তার স্বামী ছালামের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী।
বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে উপজেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে কাচারীপাড়া এলাকায় এসে বিক্ষোভ মিছিলটি শেষ হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি স্মারকলিপি দেয় এলাকাবাসী।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, সরকারি রাস্তা অবৈধভাবে দখল করে বাউন্ডারি নির্মাণ করেন জেলা পরিষদের সাবেক সংরক্ষিত নারী সদস্য সুলতানা রাজিয়া রেনু ও তার স্বামী ছালাম। এতে শতাধিক পরিবার চলাচলের পথ বন্ধ হয়ে যায় এবং তারা পথরুদ্ধ হয়ে পড়েন। এ নিয়ে তারা কয়েকবার রেনু ও ছালামের কাছে রাস্তা বন্ধ না করার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু তারা কারও কথা আমলে না নিয়ে প্রভাব খাটিয়ে বাউন্ডারি নির্মাণ কাজ করতে থাকেন। নিরুপায় হয়ে তারা বিভিন্ন মহলে বিষয়টি জানান। বিষয়টি দেখার জন্য বুধবার বিকেলে সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য রুপবান বেগমসহ স্থানীয় কয়েকজন ঘটনাস্থলে যান এবং তারা বাউন্ডারির কাজ বন্ধ রাখার অনুরোধ করেন। এ নিয়ে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে তাদের লাঞ্ছিত করা হয়। এ নিয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে সুলতানা রাজিয়া রেনু বলেন, এটা কোনো সরকারি রেকর্ডিয় রাস্তা নয় এবং আমরা দখলও করিনি। আমাদের সীমানা ঘেঁষে বাউন্ডারি নির্মাণ করেছি। কিন্তু এলাকাবাসী জোর করে আমাদের বাউন্ডারি ভেঙে ফেলে। এতে আমরা বাঁধা দিলে তারা হট্টগোল সৃষ্টি করে। এ নিয়ে আমরা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছি।
রাজীবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজারুল ইসলাম বলেন, থানার বাউন্ডারি নির্মাণের সময় আমরা জনস্বার্থে তিন ফুট জায়গা ছেড়ে দিয়েছি। তাদেরও তিন ফুট জায়গা ছেড়ে দেওয়ার কথা। কিন্তু জেলা পরিষদের সাবেক সংরক্ষিত নারী সদস্য সুলতানা রাজিয়া রেনু জায়গাটি ছেড়ে না দিয়ে সীমানা ঘেঁষে বাউন্ডারি নির্মাণ করছেন। এতে এলাকাবাসীর চলাচল বাধাগ্রস্ত হবে।
ওসি বলেন, এ বিষয় নিয়ে একাধিকবার কথা বললেও তিনি মানতে নারাজ। বিষয়টি নিয়ে বুধবার এলাকাবাসীর সঙ্গে হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় দুপক্ষই লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। রেনু ও তার স্বামী ছালাম কারও কথাই মানছে না। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করা হচ্ছে।