25 C
Dhaka,BD
June 9, 2023
Uttorbongo
কুড়িগ্রাম রংপুর

কুড়িগ্রামে পাটের মণ ৩ হাজার, কৃষকের মুখে হাসি

এ বছর পাটের দাম ভালো পাচ্ছেন কুড়িগ্রামের কৃষকরা। কম বৃষ্টি ও আগাম বন্যায় পাট ক্ষেত নিয়ে তাদের দুশ্চিন্তার ছাপ কেটেছে। পাটের বাজার দর ভালো হওয়ায় ফলন কম হলেও কৃষকের মলিন মুখে এখন হাসি ফুটেছে।

গত বছর মণ প্রতি পাটের দাম ছিল ২০০০ টাকা থেকে ২৫০০ টাকা। এবার দাম অনেকটা বেড়েছে। শুরুতেই বাজারে পাটের দাম ২২০০ থেকে ২৮০০ টাকা ধরে বিক্রি হয়েছে। বর্তমানে ২৪০০ থেকে ৩ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শেষ মৌসুম পর্যন্ত দাম আরও ভালো পাওয়ার আশা করছেন কুড়িগ্রামের পাট চাষিরা।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, এ বছর বৃষ্টি কম হওয়ার কারণে পাট গাছের তেমন লম্বা হয়নি। আবার আগাম বন্যা হওয়ায় নিম্নাঞ্চলের পাট পরিপক্ব হওয়ার আগেই কেটে ফেলতে হয়েছিল। ফলে পাটের ফলন একটু কম হয়েছে। তবে বর্তমান পাটের বাজার ভালো হওয়ায় দাম ভালো পাচ্ছেন কৃষকরা।

ঘোগাদহ ইউনিয়নের পাট চাষি রমিজুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘এক বিঘা জমিতে পাট চাষ করতে লাঙল, বীজ, সেচ, কাটা, পরিষ্কার করা ও সার দেওয়াসহ যাবতীয় খরচ হয় ৮-১০ হাজার টাকা। এবার উৎপাদন হয়েছে ১০ থেকে ১২ মণ পাট। বর্তমানে বাজারে নতুন পাট প্রতি মণ বিক্রি হচ্ছে ২৪০০ থেকে ৩ হাজার টাকা। এবার পাট চাষ করে বেশ লাভবান হবো।’

যাত্রাপুরের কৃষক এনামুল হক বলেন, ‘এবার পাটের দাম ভালো। আমার এক বিঘা জমিতে ৯ মণ পাট পেয়েছি। প্রতি মণ ২৭০০ টাকা দরে পাঁচমণ বিক্রি করলাম। বাড়িতে আরও পাট আছে। আশা করছি দাম আরও বাড়বে।’

তিনি আরও বলেন, ‘পাট চাষে ব্যয় কম, লাভ ভালো। এবার বাজার দর ঠিক থাকলে কোনো পাট চাষি ক্ষতির মুখে পড়বে না।’

পাঁচগাছি ইউনিয়নের মোক্তার হোসেন বলেন, ‘এবার পাটের ফলন কম ছিল। তবে বাজারে পাটের দাম ভালো হওয়ার খবর পাচ্ছি। সব মিলে আশা করছি পাট চাষে কৃষকের লোকসান হবে না।’

পাট চাষি আব্দুল হক বলেন, ‘দুই বিঘা জমিতে পাট ক্ষেত করেছি। ফলন মোটামুটি ভালোই হয়েছে। গতবারের তুলনায় এবার পাটের বাজার ভালো হওয়ায়, আশা করছি দামও ভালো পাবো।’

যাত্রাপুর হাটের পাট ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘কেবল পাট কেনার মৌসুম শুরু। গত বছরের তুলনায় এ বছর ভালো দামে পাট কিনতে হচ্ছে। পাটের ধরণ অনুযায়ী ২২০০ টাকা থেকে ৩ হাজার টাকা দামে পাট কিনছি। বাজারে ভালো মানের পাটের চাহিদা বেশি। ফলে দাম ভালো পাচ্ছে কৃষকরা।’

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শামসুদ্দিন মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, কুড়িগ্রামে ১৯ হাজার হেক্টর জমিতে পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও ১৬ হাজার হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। এবার আবহাওয়ার প্রতিকূলতায় পাটের ফলন কম ছিল। কারণ বৃষ্টিপাত কম হওয়ার ফলে পাট গাছের বৃদ্ধি কিছুটা ব্যাহত হয়েছিল। এছাড়া আগাম বন্যা হওয়ায় অনেক পাট পরিপক্ব হওয়ার আগেই কেটে ফেলতে হয়েছিল। ওই সব চাষি কিছুটা ক্ষতির মুখে পড়েছে। তবে এবার পাটের দাম ভালো হওয়ায় কৃষকদের আংশিক ক্ষতিটা কাটিয়ে উঠতে পারবে।

Related posts

শিক্ষক আছে শিক্ষার্থী নেই!

Asha Mony

দিনাজপুরে বৃষ্টির আশায় তিন গ্রামে ইন্দ্র দেবের নগর বিয়ে

admin

কৃষিকাজে ব্যবহার উপযোগী ড্রোন তৈরি করলেন দিনাজপুরের সবুজ

Asha Mony