রংপুরে সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে মুরগির। সেইসঙ্গে বেড়েছে ডিমসহ কিছু সবজির দর। তবে কাঁচামরিচের দাম কিছুটা কমলেও তা এখনো অসহনীয় পর্যায়ে। এছাড়া দাম বাড়তির তালিকায় যুক্ত হয়েছে আদা, চাল ও ময়দা।
মঙ্গলবার (০৯ আগস্ট) রংপুর নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা পর্যায়ে প্রতিকেজি টমেটো গত সপ্তাহের তুলনায় ১০-২০ টাকা বেড়ে ১৩০-১৪০ টাকা, করলা ৫-১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ৫৫-৬০ টাকা, শসা আগের মতোই ৩৫-৪০ টাকা, চিকন বেগুন ১০-১৫ টাকা বেড়ে ৩৫-৪০ টাকা, আগের দামে গোল বেগুন ৪৫-৫০ টাকা, পেঁপে ২৫-৩০ টাকা, লেবু প্রতি হালি ৮-১০ টাকা, কাঁচামরিচ ২১০-২৪০ টাকা থেকে কিছুটা কমে ১৯০-২০০ টাকা, শুকনা মরিচ ৪৫০-৫০০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৩০-৪০ টাকা, কাঁচকলার হালি ২৫-৩০ টাকা, ঢেঁড়স আগের মতোই ৪০-৪৫ টাকা, কচুরলতি ৩৫-৪০ টাকা, বরবটি ৫-১০ টাকা কমে ৪০-৪৫ টাকা, দুধকুষি ৩৫-৪০ টাকা, পটল ৫-১০ টাকা বেড়ে ৩৫-৪০ টাকা, প্রতি কেজি মিষ্টিকুমড়া ২৫-৩০ টাকা, চালকুমড়া আকারভেদে দাম বেড়ে ৩৫-৪০ টাকা, ঝিঙ্গা ৩৫-৪০ টাকা ও কাঁকরোল ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বাজারে নতুন আসা বাধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি।
সব ধরনের শাক ১০-১৫ টাকা আঁটি, দেশি আদার দাম বেড়ে হয়েছে ১২০-১৪০ টাকা এবং রসুন আগের মতোই ৭০-৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা পর্যায়ে ব্রয়লার মুরগির ডিমের হালি ২-৩ টাকা বেড়ে ৪২-৪৩ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৪০ টাকা এবং আমদানিকৃত ভারতীয় পেঁয়াজ আগের দামে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা বাজারে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল এখন ১৮৫ টাকা, পাঁচ লিটারের বোতল ৯১০ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭০-১৮০ টাকা দরে। বাজারে কার্ডিনাল আলু গত সপ্তাহের মতো ২৩-২৫ টাকা ও শিল আলু ৩৫-৩৮ টাকা এবং ঝাউ আলু ৩৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
সিট বাজারের সবজি বিক্রেতা মিলন মিয়া বলেন, সপ্তাহের ব্যবধানে কিছু সবজির দাম বেড়েছে। এখন অনেক সবজির উৎপাদন কমে গেছে। এ কারণে সরবরাহ কম থাকায় দাম বাড়ছে। এছাড়া আমদানি খরচ বেড়ে যাওয়ায় দামে প্রভাব পড়ছে বলেও যোগ করেন তিনি।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রায় সব ধরনের মুরগির দাম এ সপ্তাহেও প্রতি কেজিতে ১০-২০ টাকা বেড়েছে। গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি ১৪০-১৫০ টাকায় বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে দাম বেড়ে হয়েছে ১৬০-১৭০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি ২৫০-২৬০ টাকা থেকে ২৬০-২৭০ টাকা, পাকিস্তানি লেয়ার ২৫০-২৬০ টাকা এবং দেশি মুরগি আগের মতো ৪০০-৪১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহের মতোই গরুর মাংস ৬৫০-৭০০ টাকা এবং খাসির মাংস ৮০০-৯০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
মুলাটোল আমতলা বাজারের মুরগি বিক্রেতা আল-আমিন বলেন, বাজারে সব ধরনের জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। সেই তালিকায় আছে মুরগির খাবারও। এ কারণে খামারিদের খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে মুরগির দামও বাড়তে শুরু করেছে।
এদিকে খোলা চিনি ৩ টাকা বেড়ে ৮৮ টাকা এবং প্যাকেট চিনি ৯০ টাকা, মসুর ডাল (মাঝারি) গত সপ্তাহের মতোই ১১০-১২০ টাকা, চিকন ১৩৫-১৪০ টাকা, মুগ ডাল ১৪০-১৫০ টাকা, বুটের ডাল ৮০ টাকা, প্যাকেট আটা ৪৮-৫০ টাকা ও খোলা আটা ৪০-৪৫ টাকা এবং ময়দা ৬৫-৭০ টাকা থেকে বেড়ে ৭৪-৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারে চালের দাম কিছুটা বেড়েছে। স্বর্ণা (মোটা) আগের মতোই ৫৪-৫৫ টাকা, বিআর-২৮ ৬৫-৬৬ টাকায় বিক্রি হলেও মিনিকেট ৬৮-৭০ টাকা থেকে বেড়ে ৭২-৭৫ টাকা এবং নাজিরশাইল ৭৫ টাকার জায়গায় ৮৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।