কুড়িগ্রামে সম্প্রতি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে সার ও ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি। হঠাৎ করে সার ও ডিজেলের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন আমন চাষিরা।
দেশে ইউরিয়া সারের সর্বোচ্চ খুচরা দাম কেজিতে ৬ টাকা বাড়িয়েছে সরকার। ডিলার পর্যায়ে প্রতি কেজি ইউরিয়া সারের দাম ১৪ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ টাকা করা হয়েছে। এছাড়া সরকারের সবশেষ ঘোষণা অনুযায়ী, প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনে দাম বেড়েছে ৩৪ টাকা। দাম বাড়ার পর প্রতি লিটার ডিজেল ১১৪ টাকা টাকায় কিনতে হচ্ছে। দাম বাড়ার আগে খুচরা বাজারে প্রতি লিটার ডিজেল বিক্রি হচ্ছিল ৮০ টাকা।
পাঁচগাছি ইউনিয়নের কৃষক হাবিবুর রহমান বলেন, ‘কৃষি আবাদ করে আমার সংসার চালাতে হয়। তেল ও সার ছাড়া আবাদ সম্ভব না। কিন্তু সেই তেল ও সারের দাম অকল্পনীয়ভাবে বাড়ায় আমরা শুধু হতাশ হচ্ছি না, ক্ষতির মুখে পড়তে যাচ্ছি। কেননা তেল ও সারের দাম বৃদ্ধির অনুপাতে ধানের দাম বৃদ্ধি না হলে আমার মতো অনেক কৃষক কৃষি আবাদ করা ছেড়ে দেবেন।’
কৃষক মকবুল হোসেন বলেন, ‘এক বিঘা জমিতে আমন চাষে যেখানে তেল বাবদ খরচ হতো ৯০০-১০০০ টাকা, এখন সেখানে হচ্ছে ১৫০০-১৭০০ টাকা। ইউরিয়ার দামও বেড়েছে কেজিপ্রতি ৬ টাকা। সবমিলে আমরা কৃষকরাই বিপদে পড়লাম।’
আরেক কৃষক হাসেন আলী বলেন, ‘আগে ৫০ কেজির এক বস্তা ইউরিয়া কিনেছি ৮০০ টাকায়। এখন দাম বাড়ায় বস্তাপ্রতি অতিরিক্ত ৩০০ টাকা গুনতে হচ্ছে। সারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় চাষাবাদ করতে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।’
এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ শামসুদ্দিন মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, ‘কৃষকরা যাতে সঠিক মূল্যে ডিজেল ও সার পায় সেজন্য প্রশাসন ও আমাদের পক্ষ থেকে অভিযান চলছে। সার ব্যবসায়ীদের আগের মূল্যের সারের মজুত শেষ হওয়ার পর নতুন মূল্যে সার বিক্রি করতে বলা হচ্ছে। তবে কেউ সারের কৃত্রিম সংকট তৈরি করার চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’