সয়াবিন তেলের দাম কমানো হলেও রংপুরে এর প্রভাব এখনো পড়েনি। আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে তেল। এছাড়া সপ্তাহের ব্যবধানে ডাবল সেঞ্চুরির পথে কাঁচা মরিচের দাম। সেই সঙ্গে বেড়েছে শুকনা মরিচের দামও।
মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) রংপুরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল আগের মতোই ১৯৯, পাঁচ লিটারের বোতল ৯৮০ এবং খোলা সযাবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৯০-২০০ টাকা দরে।
টার্মিনাল বাজারের তেল বিক্রেতা হোসেন আলী বলেন, বাজারে তেলের দাম কমানো হলেও এখনো তা কার্যবর হয়নি। ফলে আগে যে দামে তেল কেনা ছিল সেই দামেই বিক্রি করছি। নতুন রেটে তেল কিনলে সে অনুযায়ী বিক্রি করা হবে।
কাঁচা বাজারে খুচরা পর্যায়ে প্রতিকেজি টমেটো ১১০-১২০, করলা আগের মতোই ৩০-৪০, শসা ৬০-৭০ টাকা থেকে কমে ৩৫-৪০, চিকন বেগুন ২৫-৩০, গোল বেগুন ৩৫-৪০, পেঁপে ২৫-৩০, কাঁচা মরিচ ১৫০-১৬০, শুকনা মরিচ ৩৫০ থেকে লাফিয়ে ৫০০, লাউ প্রতি পিস ৩০-৪০, কাঁচা কলা হালি ২৫-৩০, ঢেঁড়শ ২৫-৩০, কচুরলতি ৩৫-৪০, বরবটি ৪০-৪৫, পটল ২৫-৩০, ঝিংগে ২৫-৩০, কাকরোল ২৫-৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা পর্যায়ে ব্রয়লার মুরগির ডিমের হালি ৩৭-৩৮, দেশি পেঁয়াজ ৪০-৪৫ এবং আমদানিকৃত ভারতীয় পেঁয়াজ ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে কার্ডিনাল আলু গত সপ্তাহের মতো ২৩-২৫ টাকা, শিল আলু ৩৫-৩৮ এবং ঝাউ আলু ৩৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্রয়লার ও পাকিস্তানি মুরগির দাম প্রায় অপরিবর্তিত থাকলেও বেড়েছে দেশি মুরগির দাম। ব্রয়লার মুরগি ১৩০-১৪০, পাকিস্তানি মুরগি ২৩০-২৪০, পাকিস্তানি লেয়ার ২৪০-২৫০ এবং দেশি মুরগি ৪১০-৪২০ টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৪৪০-৪৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে, খোলা চিনি আগের মতোই ৮৫ টাকা বিক্রি হলেও প্যাকেট চিনির দাম ৫ টাকা বেড়ে ৯৫-১০০, মসুর ডাল (মাঝারি) গত সপ্তাহের মতোই ১১০-১২০, চিকন ১৩৫-১৪০, প্যাকেট আটা ৪৮-৫০ ও খোলা আটা ৪০-৪৫ এবং ময়দা ৬৫-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারে চালের দাম প্রায় স্থিতিশীল রয়েছে।