পাবনা সদর থানার হেমায়েতপুরে অবৈধ যৌন উত্তেজক ওষুধ তৈরির অপরাধে একটি কারখানা সিলগালা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সঙ্গে কারখানার ম্যানেজার মিরাজুল ইসলামের (২৫) জেল-জরিমানা করা হয়। এ সময় বিপুল পরিমাণ যৌন উত্তেজক সিরাপ ও ট্যাবলেট জব্দ করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার (৯ জুন) সন্ধ্যায় বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন পাবনার পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খাঁন।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পাবনা জেলা ডিবি পুলিশের একটি অভিযানিক দল বৃহস্পতিবার দুপুরে ইম্পেল ল্যাবরেটরি (ইউনানি) কারখানা ও গুদামে অভিযান চালায়। এতে নেতৃত্ব দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মামুন ও ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান খন্দকার। এ সময় অবৈধভাবে তৈরিকৃত মানবদেহের জন্য ক্ষতিকারক বিপুল পরিমাণ বিভিন্ন যৌন উত্তেজক সিরাপ, যৌন উত্তেজক শরবত ও বিপুল পরিমাণ ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় কারখানা ম্যানেজারে জেল-জরিমানা করে পাবনা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান খন্দকার জাগো নিউজকে বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ইমপেল ল্যাবরেটরিতে অভিযান চালানো হয়। কোম্পানির ম্যানেজার মিরাজুল ইসলামকে আটক করা হয়। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মামুন ওই ম্যানেজারকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ২০ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এরপর কারখানা-গুদাম সিলগালা করে দেওয়া হয়।
ওসি আরও বলেন, জব্দ ওষুধগুলোর ল্যাব টেস্ট করা হবে। সেগুলো সিজার লিস্ট করে আপাতত গুদামের মধ্যেই তালা দিয়ে রাখা হয়েছে। পরে আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে এগুলোকে ধ্বংস করা হবে।