পর্যটক নেই চিরচেনা খৈয়াছড়া ঝরনাসহ আশপাশের এলাকায়। নেই আগের কোলাহল। ফাঁকা রাস্তা দিয়ে মাঝে মধ্যে দু’ একটা মাইক্রোবাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা পর্যটক নিয়ে ঝরনার দিকে যাচ্ছে। কেউবা ঝরনা থেকে ফিরে আসছেন।
শনিবার (৩০ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে লেভেল ক্রসিংয়ে দেখা গেছে, লাইনে গাড়ি উঠার আগে ১-২ মিনিট অপেক্ষা করছে। অনেকটা ভয়ে ভয়ে পার হচ্ছে গাড়ি। কিছু গাড়ি রেল লাইনের পাশে এসে দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। গেটকিপার ইশারা দিলে পার হচ্ছে।
ঝরনা থেকে ফেরার পথে কথা হয় কুমিল্লা থেকে আসা একদল পর্যটকের সঙ্গে। তারা জানান, গতকালের দুর্ঘটনার কথা শুনেছি। কিন্তু আমাদের প্রোগ্রামের শিডিউল আগে করা ছিল। তাই ঝরনায় গিয়েছিলাম। তবে মনের মধ্যে কিছুটা হলেও ভয় কাজ করছে।
ওই সড়কের সিএনজিচালক মো. সেলিম বলেন, প্রতিদিন এসময় অনেক গাড়ি ঝরনার দিকে যায়। সড়কে গাড়ির চাপ থাকে। আগের তুলনায় কমে গেছে গাড়ি। হয়তো মানুষের মধ্যে ভয় ঢুকে গেছে।
ওই এলাকার ব্যবসায়ী ভোলা মিস্ত্রি বলেন, এভাবে যদি কাল একটু খেয়াল করে রেললাইন পার হতেন তাহলে এতো বড় মর্মান্তিক ঘটনা ঘটতো না। এছাড়া ওই সময় গেটকিপার ঘটনাস্থলে ছিল না বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, সাদ্দাম ভালো মানুষ। কখনো তাকে দায়িত্ব অবহেলা করতে দেখিনি। কিন্তু কাল কেন এমন করলো বুঝতেছি না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গেটকিপার সাদ্দাম রেলের নিয়োগপ্রাপ্ত গেটকিপার নন। একটি প্রকল্পের আওতায় ক্যাজুয়াল কর্মচারী হিসেবে কন্ট্রাক্টর থেকে বেতন পান। ওই ক্রসিংয়ের সিগন্যাল সিস্টেম অকার্যকর। এখানে সিগন্যাল বাতি বাজে না, সিগন্যাল সিস্টেম অকেজো হয়ে রয়েছে।
এদিকে দুর্ঘটনার পর থেকে অস্থায়ী গেটকিপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সুভাষ চন্দ্র দাশ, রিপন দাশ ও নকুল দাশ।
গেটকিপার সুভাষ চন্দ্র দাশ বলেন, রেলওয়ে ওয়েম্যান হিসেবে বারৈয়াঢালা স্টেশনে কর্মরত রয়েছি। গতকাল থেকে আমাদের এখানে উিউটি করতে বলা হয়েছে। আমরা অস্থায়ীভাবে দায়িত্ব পালন করছি।