যারা ফুলবাড়ীর কয়লা নিয়ে ষড়যন্ত্র করেছে এবং নতুন করে কয়লা উত্তোলনের চেষ্টা করছে তাদের মধ্যে কয়েকজন মন্ত্রী-এমপি রয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।
শুক্রবার (২৬ আগস্ট) বেলা ১১টায় ফুলবাড়ী উপজেলার ছোট যমুনা নদীর পাশে এক স্মরণ সভায় এ অভিযোগ করেন তিনি। ফুলবাড়ী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহতদের স্মরণে এই সভা হয়।
আনু মুহাম্মদ বলেন, এই আন্দোলন শুধু ফুলবাড়ীবাসীর নয়, সারাদেশের আন্দোলন। কোনো চুক্তি না থাকার পরও এশিয়া এনার্জি ফুলবাড়ীতে কয়লা উত্তোলনের পায়তারা করছে। তারা ফুলবাড়ীর নামে লন্ডনে শেয়ার বিক্রি করছে। এরপরও সরকার কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী তখন বলেছিলেন ‘ফুলবাড়ীবাসীর ৬ দফা মেনে নেওয়া না হলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে’। বিএনপি তখন সেই দাবি পূরণ করেনি। আর এখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার পরও ফুলবাড়ীবাসীর দাবি মেনে নিচ্ছে না।
এসময় এই অর্থনীতিবিদ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, অবিলম্বে ফুলবাড়ী থেকে এশিয়া এনার্জির অফিস সরিয়ে নেওয়া না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, উত্তরাঞ্চলের মানুষ দেশের সম্পদের জন্য আন্দোলন করতে জানে। দেশের সম্পদ রক্ষার জন্য ২০০৬ সালে ফুলবাড়ীতে তিনজন প্রাণ দিয়েছেন। অনেকে আহত হয়েছেন, পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। কিন্তু তারা আন্দোলন ভুলে নাই। তাদের মনে আরও বেশি আন্দোলন গড়ে উঠেছে। যদি ২০০৬ সালে বহুজাতিক কোম্পানি এশিয়া এনার্জি ফুলবাড়ীতে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলন বাস্তবায়ন করতে পারতো, তাহলে আজকের এই জীব-বৈচিত্র্য দেখতে পেতাম না। আজকের ফুলবাড়ী মরুভূমিতে পরিণত হতো।
২০০৬ সালের পর থেকে এশিয়া এনার্জি বহুবার ষড়যন্ত্রের চেষ্টা করেছে বলে জানান আনু মুহাম্মদ। তিনি বলে, তারা এখনও ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। আগামী ১৫ অক্টোবরের মধ্যে ফুলবাড়ীবাসীর সঙ্গে চুক্তি করা ৬ দফা পূরণ না হলে লাগাতার কর্মসূচির ঘোষণা করা হবে।
ফুলবাড়ী দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি সৈয়দ সাইফুল ইসলাম জুয়েলের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় গণফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক টিপু বিশ্বাস, বাংলাদেশ ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মোশাররফ হোসেন নান্নু প্রমুখ।