এলাকাভেদে লোডশেডিংয়ের যে সময়সূচি করা হয়েছে, রংপুরে তা মানা হচ্ছে না। মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) সকাল থেকেই নগরীতে প্রতি এক থেকে দেড় ঘণ্টা পরপর লোডশেডিং অব্যাহত রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন বাসিন্দারা। প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ ও লোডশেডিংয়ের কবলে বিপাকে পড়েছেন তারা।
তবে বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ সরবরাহ কম থাকায় শিডিউল মেনে লোডশেডিং দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (নেসকো) মাধ্যমে রংপুর নগরীসহ আশপাশের এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। এর আওতায় কয়েক হাজার সাধারণ গ্রাহকসহ বিভিন্ন শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও শিল্পপ্রতিষ্ঠান রয়েছে।
গত সোমবার সরকারের পক্ষ থেকে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের ঘোষণা দেওয়া হয় এবং তা মঙ্গলবার থেকে তা কার্যকর হওয়ার কথা। তবে প্রথমদিনই রংপুরে ছিল এর বিপরীত চিত্র।
নগরীর ধাপ কটকিপাড়া এলাকার ব্যবসায়ী মোফাখখারুল হক বলেন, মঙ্গলবার থেকে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের কথা শুনে কিছুটা আশ্বস্ত হয়েছিলাম। ভেবেছিলাম নির্দিষ্ট একটা সময়ে একবার বা দুইবার লোডশেডিং হবে। কিছুটা কষ্ট হলেও সেটা মেনে নেওয়া যাবে। কিন্তু এখন তো উল্টো চিত্র দেখছি। প্রতি ঘণ্টায় যেভাবে লোডশেডিং হচ্ছে তাতে নাভিশ্বাস উঠেছে।
ধাপ এলাকার একটি বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক আরিফ-উন-নূর বলেন, বিদ্যুৎ এক ঘণ্টা থাকছে তো দুই ঘণ্টা থাকে না। এ অবস্থায় জেনারেটর দিয়ে কার্যক্রম চালিয়ে নিতে হচ্ছে। এতে রোগীসহ সবার ভোগান্তি চরমে উঠেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নেসকো লিমিটেডের রংপুর বিতরণ অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী শাহাদৎ হোসেন সরকার জাগো নিউজকে বলেন, চাহিদা অনুযায়ী রংপুরে ৭৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন। কিন্তু সেখানে আমরা পেয়েছি ৪৪০ মেগাওয়াট। এ অবস্থায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে চেষ্টা করছি।