৩৫ রানের মাথায় এনামুল হক বিজয় এবং ৪২ রানের মাথায় সাকিব আল হাসানকে হারিয়ে যখন প্রায় ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে, তখন বাংলাদেশ ত্রাণকর্তা হিসেবে উইকেটে লড়াই করে যাচ্ছিলেন লিটন দাস এবং আফিফ হোসেন ধ্রুব। যদিও ক্যারিবীয়দের বাজে ফিল্ডিংয়ের কারণে কয়েকবার জীবন পেয়েছেন দুই ব্যাটারই।
তবে ওপেনার লিটন দাস দারণ একটি হাফ সেঞ্চুরি মিস করলেন। ৫০ পূরণের রানটা নেয়ার জন্যই এক্সট্রা কাভারের ওপর দিয়ে বলকে বাউন্ডারির বাইরে পাঠাতে চাইলেন। কিন্তু বল চলে গেলো পয়েন্টে আকিল হোসেনের হাতে। সহজ ক্যাচটি তালুবন্দী করতে বেগ পেতে হয়নি আকিলকে। হাফ সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ১ রান দুরে থাকতে আউট হয়ে গেলেন লিটন।
এ রিপোর্ট লেখার সময় বাংলাদেশের রান ১৩.৪ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১০০। ২৫ আফিফ হোসেন ধ্রুব এবং ১ রান নিয়ে ব্যাট করছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত সূচনাই করেছিলেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার লিটন দাস এবং এনামুল হক বিজয়। পাওয়ার প্লেকে ভালোভাবে কাজে লাগানোর উদ্দেশ্যে বলতে গেলে শুরু থেকেই তারা ছিলেন মারমুখি। সবচেয়ে বেশি ছিলেন লিটন দাস।
একপাশে লিটন রানের চাকা সচল রাখছিলেন, অন্যদিকে বিজয় ধরে খেলার চেষ্টা করছেন। কিন্তু ৫ম ওভারে দলের রান যখন ৩৫, তখন ওডেন স্মিথকে একটি বাউন্ডারি মেরে নিজের হাত খোলার ইঙ্গিত দেন বিজয়। কিন্তু ওভারের তৃতীয় বলটি বিজয় কী খেলতে চেয়েছিলেন, আর বল কোথায় গেলো তা মোটেও বুঝতে পারলেন না তিনি।
ওডেন স্মিথের করা মিডল স্ট্যাম্পের ওপর গুড লেন্থের বলটি বিজয় খেলতে চেয়েছিলেন মিডউইকেটের ওপর দিয়ে। কিন্তু বল লেগে গেলো ব্যাটের উপরের কানায় এবং চলে গেলো সোজা থার্ড ম্যান অঞ্চলে। আকিল হোসেইনের ক্যাচটি ধরতে মোটেও বেগ পেতে হলো না। ১১ বলে ১০ রান করে আউট হন বিজয়।
বিজয় আউট হওয়ার পর ব্যাট করতে নামেন সাকিব। ওডেন স্মিথকে নিজের প্রথম বলেই বাউন্ডারি মেরে জানান দেন, প্রতিরোধ গড়তেই এসেছেন তিনি।
কিন্তু পরের ওভারেই (৬ষ্ঠ ওভার) রোমারিও শেফার্ডের বলে বিজয়ের মত ভুলটা করলেন সাকিবও। শর্ট লেন্থের বল ছিল। খেলতে চেয়েছিলেন বাউন্ডারির লক্ষ্যে। কিন্তু বল ব্যাটের উপরের কানায় লেগে উঠে যায় আকাশে। মিডউইকেটে দুরহ ক্যাচটি তালুবন্দী করলেন ওডেন স্মিথ। ৩ বলে ৫ রান করে আউট হলেন সাকিব।