অ্যান্টিগায় একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচের প্রথম দিনে উত্থান-পতন দুটোরই সাক্ষী হলো বাংলাদেশ। তবে দিনশেষে তামিম ইকবালের অনবদ্য সেঞ্চুরিতে ভালো অবস্থানে টিম টাইগার্স। প্রথম দিনের খেলা শেষে বাংলাদেশ ৮২ ওভার ৫ বলে ৬ উইকেটে ২৭৪ রান করেছে। ২৪০ বলে ১৪০ রান করে অপরাজিত আছেন তামিম। ৬ রানে অপরাজিত থেকে তামিমকে সঙ্গ দিচ্ছেন মোসাদ্দেক হোসেন।
এরপর অবশ্য প্রথম সেশনে আর কোনো বিপদ ঘটেনি। ওয়ানডে মেজাজে ব্যাট করে ১ উইকেটের বিনিময়ে স্কোরবোর্ডে ১২৩ রান তুলে প্রথম সেশন পার করে বাংলাদেশ।
দাপুটে প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় সেশনে তামিমের পর অর্ধশতকের দেখা পান নাজমুল শান্তও। কিন্তু বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি। দলীয় ১৪২ রানের মাথায় প্রেস্টন ম্যাকসুইনের বলে ক্যাচ তোলেন নাজমুল। ৯৯ বল খেলে ৯টি চারের সৌজন্যে ৫৪ রান করে আউট হন এই বাঁহাতি।
শান্তর আউটের পর আবারও উইকেট। এবার সাজঘরে ফেরেন মুমিনুল হক। ৬ বল খেলে তিনি ফেরেন শূন্য হাতে। অধিনায়কত্বের চাপ সরিয়ে ব্যাটিংয়ে আরও মনোযোগ দিতেই টেস্ট দলের নেতৃত্ব ছেড়েছিলেন মুমিনুল। কিন্তু অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর প্রথম ম্যাচে আবারও একই চিত্রনাট্য। যদিও এটা ছিল প্রস্তুতি ম্যাচ। কিন্তু সবার মনোযোগ ছিল তার ব্যাটের দিকেই।
ছুটিতে থাকা সাকিবের পরিবর্তে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পালন করা লিটন দাসও সুবিধা করতে পারেননি। গা গরম করা ম্যাচে আউট হন মাত্র ৪ রান করে। মুমিনুল-লিটন ব্যর্থতায় বড় ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। আশঙ্কা জাগে দ্রুত অলআউটের। কিন্তু অবিচল ছিল দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবালের ব্যাট। সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মাঝেও অ্যান্টিগায় দ্যুতি ছড়ালেন তামিম।
গত কয়েক সিরিজ ধরেই রান পাচ্ছিলেন না। তবে এবার নিজেকে যেন উজাড় করে দিলেন। ১৬২ বলে শতক হাঁকানো ইনিংসে বাউন্ডারি মেরেছেন ১৪টি। সেই সঙ্গে মূল লড়াই শুরুর আগে ছন্দে ফেরার বার্তাও দিয়ে রাখলেন।