ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে দেশের উপরাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী করল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপি। অর্থাৎ দেশটির উপরাষ্ট্রপতি পদের জন্য ক্ষমতাসীন এনডিএ’র প্রার্থী হচ্ছেন জগদীপ।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, শনিবার (১৬ জুলাই) জগদীপ ধনখড়কে দেশের উপরাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী করার এ ঘোষণা দেন বিজেপি প্রধান জেপি নাড্ডা।
এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সব বিবেচনা ও পরামর্শের পরে আমরা জগদীপ ধনখড়কেই বিজেপি এবং এনডিএ’র উপরাষ্ট্রপতি প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ জগদীপ নিজেকে ‘জনগণের রাজ্যপাল’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
স্থানীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে দলটির সংসদীয় বোর্ডের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, কেন্দ্রীয়মন্ত্রী নীতিন গড়করি এবং মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের মতো নেতারা ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
২০১৯ সালের জুলাই মাসে রাজ্যপালের দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে প্রায়ই শিরোনামে এসেছেন জগদীপ ধনখড়। রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের সরকারের বিরুদ্ধে ‘সাম্প্রদায়িক পৃষ্ঠপোষকতা এবং মাফিয়া সিন্ডিকেটের তোলাবাজি’র অভিযোগ এনেছেন রাজ্যপাল ধনখড়। আর রাজ্যটির শাসক দলের সদস্যরা রাজ্যপাল ধনখড়কে ‘সাম্প্রদায়িক’ বলে অভিযোগ তুলেছেন।
চলতি মাসের শুরুতেই রাজ্যের ‘গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের অবক্ষয়ের’ বিরুদ্ধে বাংলার বুদ্ধিজীবীদের ‘নীরবতা ভাঙার’ অনুরোধ করেন জগদীপ ধনখড়।
২০১৭ সালে উপরাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী হিসেবে দলের সাবেক সভাপতি এবং প্রবীণ সাংসদ এম ভেঙ্কাইয়া নাইডুর নাম ঘোষণা করেছিল বিজেপি। দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে অধিষ্ঠিত হওয়ার লক্ষ্যে নির্বাচনে জয় লাভ করেন নাইডু। তার মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১০ আগস্ট।
ভারতে উপরাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৯ জুলাই এবং নির্বাচন হবে ৬ আগস্ট।