চলতি বছর ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের পেছনে উত্তর কোরিয়ার খরচ হয়েছে ৬৫০ মিলিয়ন ডলার। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সমপরিমাণ অর্থ দিয়ে দেশটি তার সমগ্র জনগোষ্ঠীকে করোনার টিকা সরবরাহ করতে পারত।
চলতি বছর মে মাসে উত্তর কোরিয়া জানায়, দেশটিতে করোনা সংক্রমণ বেড়ে গেছে। প্রায় ৪০ লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত। যদিও দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ বরাবরই এটিকে সাধারণ জ্বর হিসেবে অ্যাখ্যায়িত করে আসছে।
উত্তর কোরিয়া টিকা কার্যক্রমে কী কী উদ্যোগ নিয়েছে, তা এখনো স্পষ্ট করে না জানালেও পিয়ংইয়ং সূত্রের মাধ্যমে জানা গেছে, চলতি বছর ইতোমধ্যে দেশটি ১৮টি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে, যার পেছনে এই বিপুল অর্থ ব্যয় হয়েছে।
কোরিয়ান প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কিম জং উন ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের খরচ ৪০০ মিলিয়ন ডলার থেকে ৬৫০ মিলিয়ন ডলারে উন্নীত করেছে।
সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো বলছে, কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্রের পেছনে যে পরিমাণ অর্থ খরচ করছে, তা দিয়ে পুরো দেশের মানুষকে টিকার আওতায় আনা সম্ভব।
যদিও উত্তর কোরিয়ার সরকার বলে আসছে, করোনা নিয়ন্ত্রণে আছে। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, কোরিয়ার অবস্থা মোটেও ভালোর দিকে যাচ্ছে না; বরং দিন যত গড়াচ্ছে অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এমনিতেই উত্তর কোরিয়ার স্বাস্থ্যখাতের দশা যাচ্ছেতাই। তার মধ্যে করোনা নিয়ে হেলাফেলায় দেশটির জনগণের স্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়তে পারে।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে জানানো হয়েছে, চলতি বছরের ১২ মে দেশটিতে প্রথম ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের ভাইরাস ধরা পড়ে। ইতোমধ্যে দেশটির ৪৩ লাখ মানুষের মধ্যে করোনার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। দেশটির ২৫ মিলিয়ন মানুষ এখনো ভ্যাকসিনের আওতার বাইরে আছে বলে জানিয়েছে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম।
করোনা মহামারির শুরু থেকেই উত্তর কোরিয়াকে ভ্যাকসিন সহায়তা দিতে চাচ্ছিল ডব্লিউএইচও। কিন্তু উত্তর এ প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে। একইভাবে সিউল ও ওয়াশিংটনের প্রস্তাবিত স্বাস্থ্য সহায়তাকেও প্রত্যাখ্যান করেছে উত্তর কোরিয়া।
সূত্র: এএফপি