করোনা মহামারির বিশেষ নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে অভিবাসী কর্মীদের ওপর নির্ভরশীল দক্ষিণ কোরিয়ার শিল্প কল-কারখানাগুলোতে। এর প্রভাব মোকাবিলায় ইতোমধ্যেই কোরিয়ায় প্রবেশ করতে শুরু করছেন ইপিএস (এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেম) কর্মীরা। তবে এবার দক্ষিণ কোরিয়ায় বিদেশি কর্মীদের মধ্যে বাংলাদেশের কর্মী চাহিদা আগের তুলনায় অনেক বেশি।
দেশটির ক্ষমতাসীন রক্ষণশীল পিপল পাওয়ার পার্টির রিপাবলিকা সুং ইল-জং-এর মতে, গত দুই বছরে ৫০ হাজারেরও বেশি বিদেশি কর্মীকে কোরিয়ায় প্রবেশের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে। এমনকি তাদের কর্মসংস্থানের অনুমতিও দেয়া হয়েছিল। ইপিএস কর্মীদের ৭৩ শতাংশ উৎপাদন শিল্পে কাজ করার কথা।
দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মসংস্থান ও শ্রম মন্ত্রণালয় বলছে, আগস্টের মধ্যে ২৬ হাজার অভিবাসী শ্রমিকদের নিয়ে আসা হবে যারা মহামারি চলাকালীন দেশটিতে প্রবেশ করতে পারেনি।
দেশটির বাণিজ্য, শিল্প ও জ্বালানি মন্ত্রণালয় এবং বিচার মন্ত্রণালয় গত এপ্রিলে ঘোষণা করেছিল যে, ই-৭ (ই-সেভেন) ভিসার নিয়মগুলো আংশিকভাবে শিথিল করা হবে যাতে আরও বিদেশি ওয়েল্ডার, পেইন্টার, বৈদ্যুতিক প্রকৌশলী এবং প্ল্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারদের স্থানীয় জাহাজ নির্মাণকারীদের সাব-কন্ট্রাক্টরদের জন্য কাজ করার অনুমতি দেয়া হয়।
কর্মসংস্থান ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে গেল জুনে বলা হয়, চলতি বছরের দ্বিতীয়ার্ধে প্রতি মাসে কমপক্ষে ১০ হাজার বিদেশি কর্মীকে কোরিয়ায় প্রবেশের সুযোগ দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, বছরের শেষ নাগাদ মোট ৭৩ হাজার অভিবাসী শ্রমিক আনা হবে।
শ্রম মন্ত্রণালয় চতুর্থ ত্রৈমাসিকের মধ্যে প্রক্রিয়াটি শেষ করার পরিবর্তে তৃতীয় ত্রৈমাসিকে একবারে কর্মসংস্থানের অনুমতি দেয়ার পরিকল্পনা করেছে। যাতে এসএমইগুলো যত দ্রুত সম্ভব শ্রমের ঘাটতি থেকে বাঁচতে পারে।
কর্মসংস্থান ও শ্রমমন্ত্রী লি জং-সিক বলেন, ‘এসএমই এবং কৃষি ও মাছ ধরার শিল্পে শ্রমিকের চাহিদা অনেক। আমরা সব সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করব যাতে অভিবাসী শ্রমিকরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কোরিয়ায় পৌঁছাতে পারেন।’
এদিকে এসএমইগুলোর শ্রম ঘাটতি মেটাতে সরকারি পদক্ষেপগুলো যথেষ্ট কার্যকর কিনা, সেই প্রশ্ন তুলেছেন শিল্প কর্মকর্তারা।