রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আইন বিভাগের ছাত্রী রিক্তা আক্তারের (২১) অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (২৯ জুলাই) রাত ১২টার দিকে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
রিক্তা আক্তার বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। তার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়া কুমারখালির জোতপাড়া গ্রামে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র উপদেষ্টা তারেক নূর বলেন, ঘটনাটি শোনার পরপরই আমি মেডিকেলে গিয়েছিলাম। নিহতের মরদেহ পরবর্তী আইনি কার্যক্রমের জন্য রামেক হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে নিহতের যেসব লক্ষণ আমরা দেখেছি তাতে এটিকে আত্মহত্যা মনে হয়নি। তবে এটি আত্মহত্যা নাকি হত্যা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।
নিহত শিক্ষার্থীর সহপাঠীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দুই বছর আগে বিশ্ববিদ্যালয় ফলিত গনিত বিভাগের তারই ব্যাচমেট ইসতিয়াক রাব্বি নামের এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় তার। গত একবছর ধরে তারা বাসা ভাড়া নিয়ে একসাথে থাকছেন।
ইশতিয়াক রাব্বির বন্ধু আল-আমিন ইসলাম বলেন, ‘কয়েকদিন যাবত ওদের মধ্যে একটু ঝামেলা চলছিল। গতকাল বিকেলে ও (রাব্বি) আমাদেরকে বলছিলো ওর বউ অন্য একটা ছেলের সাথে ফেইক আইডি খুলে কথা বলে। এটা নিয়ে দুপুরে ওদের দুইজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।’
বিভাগের পক্ষ থেকে নিহতের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে আইন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো.হাসিবুল আলম প্রধান বলেন, তার মৃত্যুর খবর শুনে আমি রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ছুটে যাই। আমি এই ঘটনার পুলিশি তদন্ত দাবি করছি। একজন শিক্ষার্থীর এমন অকালমৃত্যু কখনোই কাম্য নয়।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে নগরীর মতিহার থানার ওসি আনোয়ার আলী তুহিন জানান, রাত ১২ টার দিকে নিহতের স্বামীসহ আরও কয়েকজন তাকে মেডিকেলে নিয়ে যায়। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এখন মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাখা হয়েছে। এটি আত্মহত্যা কি না তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে জানা যাবে।