সম্প্রতি হাইকোর্টে পাঠানো এক প্রতিবেদন অনুযায়ী রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) এলাকায় ৯৫২টি পুকুর রয়েছে। এসব পুকুর সংরক্ষণের নির্দেশনা চেয়ে উচ্চ আদালতে আবেদন করে পরিবেশবাদী সংগঠন ‘হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ’ (এইচআরপিবি)।
সোমবার (১ আগস্ট) হাইকোর্টের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী এবাদত হোসেনের বেঞ্চে এই আবেদন শুনানির জন্য কার্যতালিকায় (কজলিস্টে) রয়েছে।
এর আগে গত ২৫ জুলাই হাইকোর্টের একই বেঞ্চে এই আবেদনের ওপর শুনানি হয়।
এইচআরপিবি’র পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। এরপর আরও শুনানির জন্য ১ আগস্ট এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়।
মনজিল মোরসেদ জাগো নিউজকে বলেন, রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকায় পুকুর ভরাট বন্ধের দাবিতে ২০১৪ সালে হাইকোর্টে রিট করেছিলাম। হাইকোর্ট তখন রুল জারির পাশাপাশি সিটি করপোরেশন এলাকায় কতগুলো পুকুর আছে, তা জানতে রাজশাহী জেলা প্রশাসককে (ডিসি) নির্দেশ দেন।
রুলে রাজশাহী মহানগরে (রাসিকের) ভেতরে পুকুর ভরাট বন্ধে এবং সেগুলো সংরক্ষণের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। এরপর ওই আদেশ অনুযায়ী রাজশাহী জেলা প্রশাসক হাইকোর্টে একটি প্রতিবেদন পাঠান। তাতে দেখা যায়, রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকায় ৯৫২টি পুকুর রয়েছে।
মনজিল মোরসেদ আরও বলেন, সবশেষ গত ২৩ ফেব্রুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে ‘প্লট করে বিক্রির জন্য সংরক্ষিত দীঘি ভরাট’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। ওই সংবাদ সংযুক্ত করে রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকার সব পুকুর সংরক্ষণের নির্দেশনা চেয়ে সম্পূরক আবেদন করি।
জানা গেছে, রাজশাহীতে গত চার দশকে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ৪ হাজার পুকুর ভরাট করা হয়েছে। বিশেষ করে ১৯৮০-২০০৮ সাল পর্যন্ত চলে পুকুর ভরাটের মহোৎসব।